খুবির বিএ ডিসিপ্লিনে ওবিই কারিকুলা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
#সময়ের সাথে সমাজের চাহিদা পূরণে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে : উপাচার্য
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন (বিএ) ডিসিপ্লিনের তৈরিকৃত আউটকাম বেজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলার বিভিন্ন দিক নিয়ে এক কর্মশালা আজ ০৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বে সমাজে নতুন নতুন চাহিদার উদ্ভব হচ্ছে। একই সাথে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এই চাহিদা পূরণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি অপরিহার্য হয়ে উঠছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা শিক্ষার কারিকুলায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই মূলত দক্ষ জনশক্তি তৈরির প্রধানতম প্রতিষ্ঠান। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে সমাজের এই নতুন চাহিদা পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ প্রয়োজনীয়তা মাথায় রাখতে হবে। একইভাবে বৈশ্বিক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় স্থান করে নিতে হবে। এজন্য এসব দিকে লক্ষ্য রেখে এমন দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে হবে, যারা গবেষণার মাধ্যমে নতুন দিগন্ত উন্মোচন ও কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হয়। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বমান অর্জনে কারিকুলাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিকের শর্তপূরণের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সময়োপযোগী।
উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে বিএনকিউএফ এবং বিএসি’র গাইডলাইন অনুসরণ করে ২৮টি ডিসিপ্লিন ও একটি সেন্টারের ওবিই কারিকুলা প্রণয়নের কাজ শেষ হয়েছে। এখন আরেকটি ডিসিপ্লিনের ওবিই কারিকুলা প্রণয়নের কাজ শেষ হলে এক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জিত হবে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অর্জনের পেছনে শিক্ষকদের আন্তরিক ভূমিকার প্রশংসা করেন। একই সাথে বিএ ডিসিপ্লিনের ওবিই কারিকুলা প্রণয়নের জন্য ডিসিপ্লিনের সকল শিক্ষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং কয়েকটি পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ২০২৩ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন এই ওবিই কারিকুলার মাধ্যমেই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত কয়েকটি ডিসিপ্লিন অ্যাক্রিডিটেশন লাভের জন্য আবেদন পেশ করবে। তার মধ্যে বিএ ডিসিপ্লিনও অ্যাক্রিডিটেশন লাভে সক্ষম হবে। তিনি বহিঃস্থ বিশেষজ্ঞ সদস্য পদস্থ এবং স্বনামধন্য দু’জন শিক্ষকের পরামর্শ এই কারিকুলার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বহিঃস্থ বিশেষজ্ঞ সদস্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী এবং আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার।
সভাপতিত্ব করেন বিএ ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. এস এম তৌহিদুর রহমান। সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক মো. এনামুল হক। এসময় আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালকবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, অ্যালামনাই ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রণীত ওবিই কারিকুলার বিভিন্ন দিক নিয়ে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।